মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন

লোহিত সাগরে ইরানের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন

বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ জলপথ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে ইরানের আলবোর্জ যুদ্ধজাহাজ কৌশলগত বাব এল মান্দেব প্রণালি দিয়ে লোহিত সাগরে প্রবেশ করেছে। বার্তা সংস্থা তাসনিম সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এই মোতায়েনের জন্য সুনির্দিষ্ট কারণ না জানালেও তারা উল্লেখ করেছে, ইরানের সামরিক জাহাজগুলো ২০০৯ সাল থেকে ওই এলাকায় কাজ করছে।

তাসনিম বলেছে, আলবোর্জ যুদ্ধজাহাজটি লোহিত সাগরের দক্ষিণ প্রান্তে ভারত মহাসাগরের এডেন উপসাগরের সঙ্গে সংযোগকারী বাব এল মান্দেব পেরিয়ে লোহিত সাগরে প্রবেশ করেছে।

ইরানের নৌবহর ২০০৯ সাল থেকে জাহাজ চলাচলের লেন সুরক্ষিত, জলদস্যুদের প্রতিহতসহ অন্যান্য উদ্দেশ্যে এই এলাকায় কাজ করছে।
বাণিজ্যিক জাহাজে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র ডিসেম্বরের শুরুতে লোহিত সাগরের জন্য একটি বহুজাতিক নৌ টাস্কফোর্স গঠন করে। হাময়ালার কারণে শিপিং কম্পানিগুলো এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাত্রাপথ স্থগিত করে। হুতিরা বলেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে তারা হামলাগুলো করছে। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব শিপিং অনুসারে, বৈশ্বিক বাণিজ্যের ১২ শতাংশ লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে যায়, যা সুয়েজ খালের মধ্য দিয়ে আফ্রিকার একটি শর্টকাট।

এদিকে রবিবার হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেন থেকে একটি পণ্যবাহী জাহাজে চড়ার চেষ্টা করলে মার্কিন নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার গুলি করে। এতে গোষ্ঠীটি ১০ জন যোদ্ধা নিহত বা নিখোঁজ হওয়ার খবর দিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়েছে।

সোমবার ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, ব্রিটেন ‘লোহিত সাগরে নৌ চলাচলের স্বাধীনতার হুমকি রোধ করতে হুতিদের বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত’।

এর আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন রবিবার লোহিত সাগরে উত্তেজনা নিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন। হুতিদের প্রতি তেহরানের ‘দীর্ঘদিনের সমর্থন’-এর কথা উল্লেখ করে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করে দিয়েছি, এই হামলা প্রতিরোধের দায়িত্ব ইরানের ওপরেও রয়েছে।’

অন্যদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতি অনুসারে, আবদুল্লাহিয়ান কিছু পশ্চিমা দেশের ‘দ্বৈত নীতির’ সমালোচনা করে বলেছেন, গাজা যুদ্ধের সঙ্গে ‘ইসরায়েলি শাসনকে…এ অঞ্চলে আগুন লাগানোর অনুমতি দেওয়া যাবে না’। যুক্তরাষ্ট্র এর আগে ইরানকে হুতিদের হামলায় ‘গভীরভাবে জড়িত’ বলে অভিযোগ করেছিল।

ইরান এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, হুতি বিদ্রোহীরা নিজেদের মতো করে কাজ করছে। ২০২১ সালে আলবোর্জ এডেন উপসাগরে দুটি তেলবাহী ট্যাংকারের বিরুদ্ধে জলদস্যুদের আক্রমণ প্রতিহত করেছিল। এ ছাড়া ২০১৫ সালে এটি ‘বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে’ প্রণালিতে পাঠানো দুটি ইরানি যুদ্ধজাহাজের মধ্যে একটি ছিল। সেই সময়ে এটিকে সৌদি আরবের সঙ্গে উত্তেজনার চিহ্ন হিসেবে দেখা হয়েছিল। ()

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335